একটি প্রেমের গল্প


কোন এক মেয়ের মৃত্যু
ভুল করে ভালোবাসার জন্ম
মেয়ে বুঝল, ছেলে যোগ্য ধার্মিক আর ভবিষ্যৎ এ ভাল চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাই সে ভুলে পা দিলো।
ছেলে তাতে রাজি নয়, ভালোবাসা অপরাধ, বিশ্বাসঘাতকতার, ব্যাইমানি ছবলে কত ছেলের অকাল মৃত্যু অথবা বেছে থেকেও দুঃখকে বরণ করা, জীবনের আসা ছেড়ে দিয়ে মেয়ে নামের মিথ্যা শব্দের পিছনে দামি সময় ব্যয় করা আর পরিশেষে, চাকরি না হওয়ার কারনে অন্য কোথায় বিয়ে করা এই বাস্তব দৃশ্যের দর্শন অনেকবার হয়েছে। তাই ছেলে রাজি না। কিন্তু মেয়েদের চোখের পানি এত ক্ষমতাশালী যে যেকোন শক্ত হ্রদয়, কঠিন পাথরের দেয়াল ভেঙ্গে দিতে পারে। তাই ছেলেটি মিথ্যা প্রেমে পতিত হলো। এখন দারুন ঝগড়া আর আবেগের ঝলসানিতে সে দগ্ধ, দামি সময় হারিয়ে গেল না ফেরার দেশে আর আসবে না, আগের মত ডাকবেনা। এখন ছেলে সব দিয়ে মেয়েকে মানুষ করল, প্রতিষ্ঠিত করল সমাজে আজ সব আছে মেয়েটির শুধু ছেলেটির সময়ের ব্যবধানে শুধু স্মৃতি হয়ে রইল। এখন বাবা রাজি না, ভাল চাকরি চায়, তবে প্রশ্ন প্রেম করলে কেন?  নিরব রইল মেয়ে, এই নিরবতা মানি চলে যাওয়া। ভুলে যাওয়া দামি সময়ের যত্ম,ভালোবাসা নামের মিথ্যা অভিনয়। বাবা রাজি হলে মেয়ে রাজি হত এ কথা সত্য। বাবার চাহিদা ভিন্ন। ধনী কিংবা ভাল চাকরি তানাহলে সে রাজি নয়। কথায় কথায় হাদিস তকদিরের মালিক আল্লাহ। কিন্তু তকদির নিয়ে আসতে হবে। টাকা থাকলে আল্লাহ সেখানে সখিনা অবতীর্ণ করে। আর বিসিএস হলো তো কথায় নাই, চাইলে বাবাকে(ছেলে) দুই মেয়ে বিয়ে দিবো তখনতো ৪ টা বিয়ে জায়েজ। এভাবে ভন্ডামির কাছে হেরে গেল সময়ের ব্যবধানের আবেক, কান্না আর ভালোবাসা।
মেয়ের বিয়ে হলো, ধনী, চাকরিজীবি....
কিন্তু এই চাকরি তাকে আর সুখ দিতে পারল না। নতুন বর,পুরাতনের মত করে না খেয়ে, খাওয়ায় না। নিজে জামা না কেনে, এখন আর গিপ্ট দেয় না। হঠাৎ করে কোন আচমক ভাবে কোন উপহার আনে না। আমার কষ্ট কাদে না। আমাকে আগের মত কেউ যত্ন নেয় না। এর মধ্যে মেয়েটি সংবাদ পেল তার অযোগ্য প্রেমিক এখন বিসিএস ক্যাডার। এখন মেয়ের বাবা, আফসোস করে বলল, কখন যে কে কখন প্রতিষ্ঠিত হয় তা কেউ জানে না। আমরা ভাল ছেলেটিকে হারালাম। বড় ভুল করলাম ওকে মুল্যায়ন না করে। তবে সময় সূর্য আর চাদের মাঝে এক অন্ধকার তৈরী করল। মেয়েটি পিছনের অতীতের কাছে হেরে গেল। পরিশেষে মিথ্যা ভালোবাসার কাছে সত্য গল্প হেরে গেল।মেয়েটি হঠাৎ করে না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।যাওয়ার আগে এক্টিবার তার সাথে কথা বলি....
রিং হচ্ছে....কে বলছেন?
আমি নীলিমা...
নীলিমা আর বেছে নেই। স্মৃতি সাথে ওর মৃত্যু হয়েছে।
তাই নাকি। তুমি এত সহজে নীলিমাকে ভুলে গেল।
না আমি ভুলি নি। বরং নীলিমা তার স্বপ্নচূড়াকে ইতি করে দিয়েছে। বিয়ে করেছো?
না। কেন?
কারন এখন আর আগের মত কেউ বলেনা, ভাত খেয়েছো, পড়তে বসো। একটি চাকরি দরকার। প্লিজ বাবা রাজি হচ্ছে না। একটু পড়ো...
তাই তার কথা নিয়ে বেচে থাকতে চাই। তবে নীলিমাকে নিয়ে নয়। নীলিমার স্মৃতি নিয়ে।

পরের দিন সকাল
বিকাল
অত:পর সন্ধ্যা
একটা ফোন
নীলিমা আর নেই
শুনে ছুটে চলে গেল, ছেলেটি।
ভীর আর সেখানে কাদছি সেই পাষাণ দরবেশ( মেয়ের বাবা)
লোভ আর দুনিয়ার বাসনা এইভাবে দুইটা জীবনকে শেষ করে দিল,ইতিহাসের পিছনে সঞ্চিত হলো
দুটি পরাজিত ভালোবাসার গল্প।
তাই পিতা-মাতাদের অনুরোধ, নিজেরদের জন্য অন্যদের শেষ করে দিলে সেই আগুনে নিজেরাই জ্বলে।
( লেখকঃ শমসের সরদার)

Comments

Popular Posts